আমরা সবাই জানি জীবনে উন্নতি করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ছোট বেলা থেকেই আমাদের এমনটাই শেখানো হয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি যারা কঠোর পরিশ্রম করে তাদের সবাই জীবনে উন্নতি করতে পারে? দুঃখজনক হলেও সত্য বাস্তবে তেমন ঘটেনা। বরং দেখা যায় বেশীরভাগ অসফল লোকই জীবনে কঠোর পরিশ্রম করে বা করতে বাধ্য হয়। একজন রিক্সাচালক, একজন দিন মজুর বা এই শ্রেনীর লোকদের দিকে খেয়াল করলেই আমরা ব্যাপারটা বুঝতে পারবো।
তাহলে সফল হতে হলে কি করতে হবে? অনেকেই উত্তর দেন সফল হতে হলে শুধু কঠোর পরিশ্রম করলেই হবেনা, পরিশ্রমটা স্মার্টও হতে হবে। এখন যুগ অনেক পাল্টেছে। প্রতিদিন নতুন নতুন যন্ত্রপাতি, নতুন নতুন টেকনোলজি আবিষ্কার হচ্ছে আমাদের কাজকে সহজ করার জন্য। আমাদেরকে এসব যন্ত্রপাতি, এসব টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে যাতে আমরা অল্প পরিশ্রমে বেশী বেশী কাজ করে নিতে পারি। স্মার্ট ওয়ার্ক না করলে বর্তমান যুগে সফল হওয়া সম্ভব নয়। এই মতামতকে আমিও সমর্থন করি। কিন্তু সাথে আমার একটা সংযোজনও আছে।
আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রমও করতে হবে, পরিশ্রমকে স্মার্ট ওয়েতেও করতে হবে এবং সাথে সাথে আমাদের পরিশ্রমটাকে ইফেক্টিভও হতে হবে। আমি খুব স্মার্টলি কাজ করলাম কিন্তু সেই কাজ আমাকে কোন রেজাল্ট এনে দিলনা তাহলে এমন কাজ আমাদেরকে সফলতা এনে দিবেনা। সফল হতে হলে আমরা যতটুকু কাজই করবো তা যেন আমাদের জন্য ম্যাক্সিমাম রেজাল্ট নিয়ে আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা এমন একটা প্রতিযোগীতামূলক সময়ে বাস করছি যেখানে সবাইই স্মার্ট থেকে স্মার্টার হচ্ছে দিন দিন। তাই আমাদের প্রতিটা মিনিট প্রতিটা সেকেন্ডের কাজকে খুব বেশী ইফেক্টিভ করতে হবে। চলুন একটা বাস্তব উদাহরণ দেখে আসি।
আমাদের দেশে প্রায় ৮০ লক্ষ ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন। আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেশীরভাগই কিন্তু হার্ড ওয়ার্ক করেন। দিন রাত তারা প্রচুর পরিশ্রম করেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য তাদের বেশীরভাগকেই ধরা দেয়না। একটা নির্দিষ্ট আবর্তে ঘুরতে থাকে তাদের ব্যবসা, তাদের জীবন।
নতুন ব্যবসায়ীরা কিছুটা স্মার্ট ওয়েতে কাজ করছেন। তারা ইন্টারনেট, সোস্যাল মিডিয়া ইত্যাদি ব্যবহার করে তাদের ব্যবসাতে অনেককিছু সহজ করে নিয়েছেন। বিজ্ঞাপণের পেছনে অনেক টাকা তাদের খরচ করতে হয়না, অনেক টাকা ব্যায় করে অফিস বা শোরূম না নিয়েও তারা ব্যবসা করতে পারছেন। নিজের ঘরে বসেই তারা চাইলে পুরো বিশ্বব্যাপী ব্যবসা করতে পারছেন। রিয়েলি খুব স্মার্ট ব্যবসায়ী উনারা। কিন্তু যদি প্রশ্ন করি এই স্মার্ট ব্যবসায়ীরা কি সফল? অপ্রিয় সত্য হলো না, তাদের প্রায় ৯৫% ব্যবসায়ীই সফল নন।
এখানেই আসে ইফেক্টিভনেসের প্রশ্ন। বর্তমানে আমাদের সবার হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। কিন্তু আমরা সেই স্মার্ট ফোনের ১০% ফিচারও ইফেক্টেভলি ব্যবহার করিনা। অনলাইনে যারা ব্যবসা করি তাদের একটা সুন্দর নাম আছে, ডিজিটাল উদ্যোক্তা। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর ৫% ও আমরা ইফেক্টিভলি প্রয়োগ করিনা আমাদের ব্যবসায়। একাউন্টস, হিউম্যান রিসোর্চ, কাস্টমার রিলেশনশীপসহ ব্যবসার যাবতীয় ডিপার্টমেন্টকে ইফেক্টিভলি কাজে লাগানোর জন্য চমৎকার চমৎকার সব টুলস ফ্রীতেই পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের মধ্যে ৫% ও সেগুলো ব্যবহার করতে পারিনা বা ব্যবহার করিনা। ফলে আমরা আমাদের দৈনিক ব্যস্ততাকে আমাদের সফলতার জন্য কাজে লাগাতে পারছিনা। আর তাই সফলতাও আমাদের ধরা দিচ্ছেনা।
নোটঃ শুধুমাত্র হার্ড ওয়ার্ক এবং স্মার্ট ওয়ার্ক করলেই হবেনা, সেই ওয়ার্ককে ইফেক্টিভও করতে হবে। কিভাবে আপনার কাজকে ইফেক্টিভ করবেন তা নিয়ে খুব ছোট একটা কোর্স ডিজাইন করেছি আমরা। ক্লাস, এসাইনমেন্ট ও ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে এই কোর্সটাকেও আমরা অনেক বেশী ইফেক্টিভ করার চেষ্টা করেছি। আপনার ব্যবসার জটিল জটিল সব কাজকে আপনি খুব সহজেই ম্যানেজ করার জন্য কোর্সটিতে এখনি এনরোল করে নিন।